আজ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি

# পুলিশ সৎ না থাকলে সড়ক নিরাপদ হবে না : নাগরিক কমিটি
# টাকা পয়সার লেনদেন জানা নেই : অ.পুলিশ সুপার

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা ও প্রভাবশালীরা মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের থেকে চাদাঁবাজি করে সড়ক-মহাসড়কে দখল করে রেখেছে। তবে এবার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ কাচঁপুর পয়েন্টে ভারী যানবাহন থেকে হাইওয়ে পুলিশের চাদাঁবাজির ।

দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ট্রাক থামিয়ে কাগজ প্রদর্শন করতে নির্দেশ দেন চালকদের। যানবাহন চালকরা গাড়ির কাগজ পুলিশ সদস্যদের কাজে দেয়ার পর হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা কাগজ জব্দ করে টাকা দাবি করেন আর টাকা না দিলে গাড়ি ড্রামপিংয়ে পাঠিয়ে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন এমন অভিযোগ করেন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ট্রাক চালক মোঃ নওশাদ। তিনি আরো বলেন আমার গাড়ি নাম্বার০০০ পন্য নামিয়ে কাচঁপুর সেতু থেকে সড়কে নামার সাথে সাথে একজন হাইওয়ে পুলিশের সদস্য গাড়ি থামিয়ে উপরে উঠে লাঠি পেটা করে এবং সামনের একটি খালি যায়গায় নিয়ে কাগজ চায়। গাড়ির কাগজ দেয়ার পর আরেকজন হাইওয়ে পুলিশের সদস্য টাকা দাবি করেন আর টাকা না দিলে গাড়ি ড্রামপিংয়ে পাঠিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেন।

হেলপার নুরুন নবী বলেন, জোড় করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গাড়ি থামায় আমার গাড়ির সকল কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও হাইওয়ে পুলিশকে টাকা না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। আমরা সড়কে পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছি।
হাইওয়ে পুলিশের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানায়, এটা আমি, মনে করি নারায়নগঞ্জ এসপির উচিত মহাসড়কে ব্যবস্থা নেয়া । পুলিশ যদি সৎ না থাকে তাহলে সড়ক নিরাপদ হবে না। পুলিশের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন।

তবে এ সকল অভিযোগের বিষয়ে কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম সরদার জানান, যখন তখন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালকরা সড়কে যানজট সৃষ্টি করে। মহাসড়ক থেকে ফুটপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। চালকদের ভাল কথায় কাজ হয় না। কাচঁপুর থেকে মেঘনা পর্যন্ত সব এলাকায় আমাদের হাইওয়ে পুলিশ সদস্য রয়েছে সকল পুলিশ সদস্যকে তদারকি করাতো সম্ভব নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করি যাতে করে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। আর জেলা পুলিশও কাজ করছে মহাসড়কে তবে কে বা কারা সড়ক থেকে টাকা উত্তোলন করছে তা আমাদের জানা নেই।

চাদাঁবাজির অভিযোগের বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মেশিনের মাধ্যমে গাড়ির কাগজ পত্র তল্লাশি করি এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের টাকা পয়সার লেনদেন জানা নেই। প্রতিবেদক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতো রাতে কেন আপনি ফোন করেছেন তা আমি বুঝতে পারছিনা। আপনি কাচঁপুর ওসির সাথে কথা বলেন।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে যা সাংবাদিকদের ছবির মাধ্যমে ধরা পড়ছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ